‘ভীষন অসুস্থতা’ আমার কাছে কাছের শব্দ না কখনই, আমার সবসময় খয়রাতি অসুস্থতা হয়…মাথা ব্যথা, চোখ ব্যথা যা কাউকে ঠিকমতো বোঝানোও যায়না আর যত্ন আত্তি পাওয়াতো দূরের কথা….সেই আমি একটা ভিন দেশে এসে এমন অসুস্থ হলাম যে টানা ৮ দিন হসপিটালে !! টনসিল ইসফেকশন, ইউরিন ইনফেকশন, টাইফয়েড, ডেঙ্গু সবকিছু একজন মানুষের একসাথে হয়…হাহা একবারে বোনাস ইনক্রিমেন্ট সব !!….প্রথম ৪/৫ দিনের কথা মনে নেই..সেন্স তেমন ছিলনা তবে পরের দিনগুলোতে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে হাজারোবার একটা শব্দই বলেছি…..”মা, মাগো…” আর প্রথমবারের মতো আমার মনে হয়েছে ‘মা’ শব্দটা সবসময় আমাদের কাছে শুধু মা না……’মা’ আসলে একটা সিম্বল….কারণ এই মা ডাকের সাথে সাথে শুধু মা ই না বরং আমার চোখে ভেসে আসতো আমার ভাইবোন বা বাবার মুখ, যে মানুষটা অনবরত বাংলাদেশ থেকে অফিসে আর বাবুর সাথে যোগাযোগ করছে সেই আপার মুখ, আমার কমরেড ছেলে যে আমার সাথে হাসপাতালে সারারাত জেগে আমার প্রত্যেক নড়াচড়ায় একবার করে জিজ্ঞাসা করছে আমি ঠিক আছি কী না ওর মুখ, আমার প্রিয়তম মানুষ, বা আমার বন্ধুদের মুখ, যারা আমাকে ভালবেসেছিল, ভালবাসে তাদের মুখ, এমনকি ঢাকার জ্যামে আটকে থাকা রাস্তা, বিজয় স্মরনী বা চন্দ্রিমার কৃষ্ণচূড়া….দাদুবাড়ির বাঁশগাছে ঘেরা ছাদ… স…ব….সব। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে বুঝেছি -- মা মানে স্নেহ জাগানিয়া প্রতিটা কাছের মানুষ , মা মানে আমার অনেকের কাছে অনেক গালি খাওয়া ভীষণ প্রিয় দেশটা…………….